স্বনামধন্য জাপানী পরিচালক হিরোকাজু কোরিয়াদার আরেকটি চমত্কার আবেগপ্রবণ মুভি লাইক ফাদার, লাইক সন। আরকটি বলছি কারন নোবডি ন্যোস, স্টিল ওয়াকিং সহ বিভিন্ন সুখ্যাতি পাওয়া সিনেমার পরিচালক তিনি। বিষয়-বস্তুর অভিনবত্বর জন্য সব ধরনের দর্শক মুভিগুলো পছন্দ করেছেন। তার পরিচালিত সিনেমাগুলোতে তিনি কিছু মেসেজ দেন দর্শকদেরকে। পিতা-পুত্রের সম্পর্ক কেমন হয় আমরা সবাই জানি এবং প্রতিনিয়ত দেখছি আশেপাশে। কিন্তু এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের এক অন্য মাত্রা এবং পিতা-পুত্রের সম্পর্কের এমন এক স্তর ফুটে উঠেছে, যা দর্শকদের আবেগপ্রবণ করে তুলবে। পারিবারিক সিনেমার একটি মাস্টারপিস বলা যায় লাইক ফাদার, লাইক সন ছবিটিকে। জন্মের সময় হাসপাতাল কর্তিপক্ষের ভুলের কারণে একটি পরিবারের বাচ্চা আরেক পরিবারের কাছে চলে যায়। মানে চেন্জ হয়ে যায়। অনেক বছর পরে সত্য কথাটি জানতে পারে একজন বাবা। ছবিটির তখনের দৃশ্যটি আমি কখনো ভুলতে পারবো না। একদিকে রক্তের টান আর অন্যদিকে নিজ হাতে গড়ে তোলা স্বপ্ন আর আদর্শ। দুটি পরিবারকেই কঠিন এই সিদ্ধান্তের মধ্যে পরতে হয়। পরিবার দুটির স্বভাবিক জীবনে ঘটে ছন্দ পতন। এই অতি দোটানার মধ্য দিয়েই এগুতে থাকে গল্প। চরিত্রগুলো দারুণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন পরিচালক। সত্যিই অসাধারণ এক ছবি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মত একটি ছবি। বাবাকে নিয়ে এরকম ভিন্নধর্মি ছবি আমি আর দেখিনি। আমাকে মুভিটি আবেগে কাঁদিয়েছে বারবার। সন্তানের প্রতি বাবার বাধ ভাঙ্গা ভালবাসা দেখে যে কারো চোখের কোনায় পানি আসতে বাধ্য হবে।