থ্রিলার টাইপের এই উপন্যাসটি পড়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। আমার কাছে থ্রিলার বই মানে হলো প্রতিটি পাতায় থাকবে প্রচুর পরিমান উত্তেজনা এবং শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা। অনেক দিন পরে মনের মত একটি থ্রিলার পড়লাম। জন ল্য ক্যারের লিখা বই আগে আর পড়িনি। অসাধারন লিখেছেন লেখক। নেটে খুজতে, খুজতে ল্য ক্যারের আরো দুটি পেয়ে গেলাম। থ্রিলার টাইপের বই পড়তে যারা পছন্দ করেন তারা জন ল্য ক্যারে পড়ে দেখতে পারেন। হঠাৎ করেই নিখোজ হয়ে যায় ব্রিটিশ একজন লোক। সে কাজ করতো পশ্চিম জার্মানির রাজধানী বনের ব্রিটিশ দূতাবাসে। হোমরা-চোমরা কেউ না। নিচের স্তরে কাজ করা সাধারন একজন কর্মচারি। ব্রিটিশ দূতাবাসের মাথা ব্যাথা হাড়িয়ে যাওয়া কর্মচারির জন্য না। লোকটির সাথে সাথে অনেক গুলো টপ সিক্রেট দলিলও গায়েব হয়ে যায় ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে। যে কোন মূ্ল্যে কাগজ গুলো ফেড়ত চাই ব্রিটিশ দূতাবাসের। না হলে চরম মূল্য দিতে হবে দূতাবাস। এবং খুব লজ্জার মধ্যে পরবে বৃট্রিস সরকার। ঘটনার তদন্ত করতে লন্ডন থেকে উড়িয়ে আনা হলো অ্যালান টার্নার নামের একজনকে। ভিঞ্চি-কোড বইটি যাদের ভাল লেগেছে তাদের অবশ্যই বইটি পড়ে দেখতে পারেন। বইটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বেঁচে যাওয়া নাৎসীরা আবার কিভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছানোর জন্য কাজ শুরু করে, কিভাবে তারা সরকারের সাথে যোগসাজশ গড়ে তোলে, কিভাবে ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে তার একটা সাবলীল বর্ণনা দেয়া হয়েছে।